বিবেকবাবু
িবেকবাবু,
শুনতে পাও কি আমায়?
বন্ধ করে রেখেছো কেন চোখ কান
মনের জানালা?
প্রতি মুহূর্তে করছো কেন
অন্যায়ের সাথে আপোষ?
বিবেকবাবু,
আজ কোথায় হারালে তুমি?
তুমি কি আজ ঘর বেঁধেছো মানুষের পদ তলে ?
তোমায় দেখি আজকাল পাওয়াই বেজায় ভার।
তুমি কি দেখতে পাচ্ছো না মানুষের ক্ষুধার যন্ত্রণা?
সামাজিক মূল্যবোধের অবমাননা?
এই যে সেবার নামে দিচ্ছে ধোঁকা
মানুষকে বানাচ্ছে বোকা!
তবে, তুমি চুপ কেন?
তুমি তো দেখছি ক্ষুধার্ত পেটে
অন্ন পেলেই ভুলে যাচ্ছো সবই;
মোহের পেছনে চলছো ছুটে
মোহ ফুরালেই যাচ্ছো ভুলে?
নতুন কোন শিকারের খোঁজে
ছুটছো ধেয়ে।
বিবেকবাবু,
তুমি যদি থাকতে হৃদয় অন্তরে
দেখতে হতো না যন্ত্রণা পাঁচ বছরের শিশুরে।
অগ্নিদগ্ধ হতে হতো না কোন মেয়েকে,
ভালো না বাসার অপরাধে।
ক্ষুধার যন্ত্রণায় আজ কাউকে
অভুক্ত হতে হতো না।
হতো না কোন বৃদ্ধাশ্রম
অসহায় বাবা মায়ের ঠিকানা।
ত্রাণ লুট করে পারতো না কেউ গড়তে
অবৈধ সম্পদের পাহাড়,
থাকতো না মানুষের মঝে অহেতুক অহংবোধ,
উপকার ভুলতো না সহজ স্বীকারোক্তিতে ।
থাকতো না কোন প্রতিযোগিতা,
অন্যের পিঠে দিয়ে পারা।
ভুলে যেতো না মানুষ রঙিন এই দুনিয়া
চিরদিনের আবাস নয়।
কিন্ত, তুমি আমায় লজ্জা দিলে বিবেকবাবু।
তুমি বললে বন্ধ করতে এসব নীতিকথা
কিভাবে বন্ধ করি বল তো!
আজ আমি শুনতে পাই সমস্ত ধৈর্য্যর বাঁধ
ভেঙে যাবার শব্দ।
তুমি নিজেকে সূর্য বলে দাবী কর।
হাসি পায় আমার, তোমার কথায়,
সূর্যের কাজ তো চারদিকে আলো ছড়ানো
তবে আমার চারদিক কেন তমসাচ্ছন্ন?
তোমার নীরবতার বাঁধ ভেঙে
জেগে ওঠো একবার ,শুধু একবার
এতটুকু অনুরোধ আমার
রাখতে কি পারবে না তুমি,
ও বিবেকবাবু?