আমি হাসি আবাদ করি ঠোঁট
আমার কষ্টগুলো তো তোমার কর্ণগহ্বর বিদীর্ণ করার কথা না,
হাজারো বাসনা লিপিবদ্ধ হয়-
দেশলাই কাঠি জ্বলে ওঠে,
আমার কান্নাগুলো ক্ষতচিহ্ন হয়ে
অভিমানের পাহাড় রচনা করে;
হাসি আবাদ করে ঠোঁটে;
দিব্যি ভালো আছি তো;
তবে কি করে পৌঁছালো কষ্টগুলো?
আমি তো লোনা জল বিক্রি করিনি,
তবে কি করে আঘাত করলো আমার নীল কষ্টগুলো?
হৃদপিন্ডে থকথকে রক্তিম লাভা;
আমার মায়া হরিণীর মত দীঘল কৃষ্ণ চোখে-
দেখেছি অগণিত ভালোবাসা-
খুন,ধর্ষন, ললাটে আগুনের ছেঁকা!
তবুও তো আমি চিৎকার করে কাঁদিনি একটি বার,
তবে কি ষষ্ঠ ইন্দ্রিয় বলে সত্যিই কিছু আছে?
এভাবেই কি তুমি ছুঁয়েছো আমার বুকের গহীণে জ্বলে ওঠা দীর্ঘশ্বাস?
আগুনের লেলিহান শিখা?
তুমি ঝড়ের আকাশে তেড়ে আসা মেঘ ,
আমি তো এক ডানাভাঙা গাঙচিল;
ঝড়ের আকাশে শিখিনি পাখা মেলতে;
গোলাপের আশা করা কোন মানবীকে,
কি করে দেখাবে কাঁটার ভয়?
কিন্ত দীর্ঘশ্বাস আচমকা আওয়াজ তোলে ,
পাগলীর সাথে নিবিড় কথোপকথন;
বিবেক হেসে বলে,
বুদ্ধিমতি হলে তো মধুর আশা না করে,
চিনির আশা করতি।