িছুই চাও নি
িতে চেয়েছি তোমায়,
অন্য সবার আগে
লেভান্ত ,আনাতোলিয়া
কিন্তু, তুমি তা দেখতেও চাইলে না একবার
তাই অন্য কেউ,
ক্লিওপেট্রাকে দিয়ে দিল ঐ উপহার!
দেব উৎসবে পাওয়া স্বর্ণ আপেল
আমি দিতে চেয়েছি তোমায়,
কিন্তু তুমি তাও চাইলে না
অগত্যা, ফিরিয়ে দিলাম আমি
সেটা আবার কুড়িয়ে পেলো তিন দেবী,
হল কাড়া কাড়ি,বেশ রেষা রেষি
আরো কত জানা অজানা কাহিনী !
এক জ্ঞানী কবি
দুটি শহর বিলিয়ে দিয়েছিল
প্রেয়সীর মাত্র একটা তিলের জন্যে,
কিন্তু তুমি তো জানতে,
তার আগেই ও দুটি হত তোমার
শুধু একবার আমায় বললে,
কেন জানি, তাও চাওনি
হয়তো মনে ধরেনি,
তিমুরের রাজধানী !
তোমার চোখের তারায়
খুশির আলো ভরিয়ে দিতে,
কৃষ্ণা নদীর ধারে, মাটি খুঁড়ে খুঁড়ে
কোহিনুর, বের করেছি আমি,
তাও তুমি চাওনি, ফিরিয়ে দিলে,
দিল্লির রাস্তায় তাই দিয়েছি ফেলে
এ হাত ও হাত ঘুরে,
আলোর পাহাড় এখন বন্দী
এক বুড়ি রানীর বাক্স জেলে!
তুমি তো জানো, সবার আগে
নীল পদ্ম জোগাড় করেছিলাম আমি ,
গুনে গুনে ঠিক ১০৮ টি ।
ভেবেছি খুশি হবে, সুখী হবে
সারা ঘরে পদ্ম পাতা ছিটিয়ে দেবে
কিন্তু না, সেটাও চাও নি তুমি,
আর এক ফাঁকে, সুনীল গেলো নিয়ে।
অবশ্য, তারও তেমন কোন কাজে আসেনি!
দেওয়ার মত কিছুই আর পাইনি
তোমার অজান্তে তাই রেখে দিয়েছি,
চারকোণা ছোট্ট রুপোর বাক্সে
যা ছিল, আমার সবচেয়ে দামী,
একান্তই আমার, আমি
চন্দন সুবাস এর এক অদৃশ্য মোড়কে
তোমার অজান্তে, তোমারই মণিকোঠায় ;
বলিনি তোমায়, ভেবেছি
ওগুলো তোমার কাছে, হয়ত মূল্য হীন ।
হটাৎ একদিন,
তোমায় আর পাইনি খুঁজে,
শুনেছি, দেব জানুস এর হাত ধরে
নাকি চলে গেছো অনেক দূরে,
সুখ না পেয়ে
মনের মত সুখের খোঁজে ।
কিছুই নাওনি, কিন্তু
অজান্তে আমার সবকিছু নিয়ে।
তুমি চলে গেলে
না জেনেই নিয়ে গেলে ,
আমার কমদামী ঐ চারটি
স্বপ্ন, ভালোবাসা, অস্তিত্ব আর বিশ্বাস
আমার এখন শুধুই আছে
ক্রম বিলীয়মান,
শুধুই, শুধু এক ফালি নিশ্বাস ।
তুমি কিছুই চাইলে না,
কখনই তুমি আমার কাছে কিছু চাওনি
কিছুই না !
এমনকি, আমাকেও না !!